বাংলাদেশে, বিঘা হল জমির পরিমাপের একক, সাধারণত গ্রামাঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। এটি পরিমাপের একটি প্রাচীন একক যা বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এক বিঘার সঠিক মূল্য অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয়।

ঐতিহাসিকভাবে, এক বিঘা জমির ক্ষেত্র হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল যেটি একদিনে এক জোড়া বলদ দ্বারা চাষ করা যেতে পারে। যাইহোক, সময়ের সাথে সাথে, এক বিঘার আকার পরিবর্তিত হয়েছে, অঞ্চল এবং জমির প্রকারের উপর নির্ভর করে। কিছু অঞ্চলে, এক বিঘা এক একরের 1/3 এর মতো ছোট হতে পারে, আবার অন্য অঞ্চলে, এটি 5 একরের মতো বড় হতে পারে।
যখন বিঘাকে পরিমাপের অন্যান্য একক যেমন সেন্টে রূপান্তর করার কথা আসে, তখন সঠিক রূপান্তর ফ্যাক্টরটি ব্যবহৃত বিঘার আকারের উপর নির্ভর করে। যাইহোক, একটি সাধারণ নিয়ম হিসাবে, এক বিঘা আনুমানিক 16.5 সেন্টের সমান।
এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে বিঘা বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে পরিমাপের একটি সাধারণ একক হলেও এটি সরকারীভাবে পরিমাপের একক হিসাবে স্বীকৃত নয়। পরিবর্তে, সরকার অফিসিয়াল উদ্দেশ্যে মেট্রিক সিস্টেম ব্যবহার করে, এবং জমির এলাকা সাধারণত হেক্টর বা একরে পরিমাপ করা হয়।
বাংলাদেশে পরিমাপের একক হিসাবে বিঘার ব্যবহার সম্পর্কে আরও প্রসঙ্গ দেওয়ার জন্য, এটি লক্ষণীয় যে এই শব্দটি ভারত ও নেপালের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতেও ব্যবহৃত হয়। এই দেশগুলিতে, অঞ্চল এবং পরিমাপ করা জমির ধরণের উপর নির্ভর করে এক বিঘার আকারও পরিবর্তিত হতে পারে।
বাংলাদেশে, বিঘা প্রায়ই গ্রামাঞ্চলে কৃষি কাজের জন্য জমি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত কৃষি জমির আকার পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়, সেইসাথে আবাসিক বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত জমির প্লট। অবস্থান, জমির ধরন এবং জল এবং অবকাঠামোর অ্যাক্সেসের মতো অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশে জমির মূল্য ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।
যদিও বিঘা পরিমাপের একটি সরকারী একক নয়, তবুও এটি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রায়শই অনানুষ্ঠানিক জমি লেনদেনে ব্যবহৃত হয়, যেমন ব্যক্তিদের মধ্যে কৃষিজমি ক্রয় এবং বিক্রয়। এই ধরনের ক্ষেত্রে, এক বিঘার সঠিক মাপ গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে, যতক্ষণ না উভয় পক্ষ জমি কেনা বা বিক্রি করা আনুমানিক আকারের বিষয়ে সম্মত হয়।
সরকারী উদ্দেশ্যে, যেমন ভূমি রেজিস্ট্রেশন এবং ট্যাক্সেশনের জন্য, বাংলাদেশ সরকার মেট্রিক সিস্টেম ব্যবহার করে, যেখানে জমির এলাকা সাধারণত হেক্টর বা একরে পরিমাপ করা হয়। যাইহোক, এমনকি শহুরে এলাকায় যেখানে মেট্রিক সিস্টেমটি বেশি ব্যবহৃত হয়, বিঘা এখনও ভূমি এলাকা উল্লেখ করার জন্য কথোপকথন ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য গ্রামীণ জনসংখ্যা সহ এলাকায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিভ্রান্তি কমাতে এবং জমির লেনদেনে আরও ধারাবাহিকতা প্রদানের জন্য, সারা বাংলাদেশে এক বিঘার আকার মানক করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যাইহোক, পরিমাপের একক হিসাবে বিঘার ব্যবহার দেশের গ্রামীণ এলাকায় গভীরভাবে রয়ে গেছে, এবং এটি অদূর ভবিষ্যতে ব্যবহার করা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও বিঘা বাংলাদেশে পরিমাপের একটি সরকারী একক নয়, এটি এখনও গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপকভাবে কৃষি এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে জমির পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর সঠিক আকার অঞ্চল এবং পরিমাপ করা জমির ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সাধারণ নিয়ম হিসাবে, এক বিঘা প্রায় 16.5 সেন্টের সমান।
এক বিঘা বাংলাদেশে আনুমানিক 16.5 সেন্টের সমান। যাইহোক, এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে একটি বিঘার সঠিক আকার অঞ্চল এবং জমির ধরণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। “শত” শব্দটি বাংলাদেশে পরিমাপের একটি সাধারণভাবে ব্যবহৃত একক নয়, এবং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যান্য দেশে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেখানে এটি স্থলভাগের পরিবর্তে মুদ্রার একককে বোঝায়। যে কোনো অঞ্চলে ভূমি এলাকা নিয়ে কাজ করার সময় পরিমাপের স্থানীয় একক সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত রূপান্তর উপাদান ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহারে, বাংলাদেশে এক বিঘা মোটামুটিভাবে 16.5 সেন্টের সমতুল্য, কিন্তু একটি বিঘার সঠিক মূল্য অঞ্চল এবং পরিমাপ করা জমির প্রকারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। যদিও বিঘা পরিমাপের সরকারী একক নয়, তবুও গ্রামীণ এলাকায় জমি ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
এক বিঘা সমান কত শতক?
১ বিঘা = ৩৩ শতক = ২০ কাঠা।